,

কপিলমুনিতে চাঁদা দাবির মামলায় দুইজন গ্রেপতার

এস কে আলীম,কপিলমুনি খুলনাঃ কপিলমুনিতে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির মামলায় পুলিশ দুই জনকে গ্রেপতার করেছে।গ্রেপতার কৃতরা হলো কপিলমুনির নাছিরপুর গ্রামের আক্কাজ আলী সানার ছেলে মোঃ কামাল হোসেন (৩৭)ও মামুদ কাঠির গোয়ালডাঙ্গা মোড়ের মুনছুর খাঁনের ছেলে মুনমুন খাঁন (২৭)।পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ গত ৭ মার্চ রাতে অভিযান চালিয়ে কপিলমুনি এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপতার করে।বিশিষ্ট ইটভাটা মালিক চিত্তরন্জন মন্ডল চাঁদা দাবির অভিযোগে গত ৭ মার্চ পাইকগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।মামলা নং ০৭। মামলায় ধৃত ২ জন বাদেও হরিদাশকাঠি গ্রামের মৃত আব্দুল ফকিরের ছেলে হালিম ফকির (৩৭) ও নাছিরপুর পাল পাড়ার মৃত গনেশ পালের ছেলে কিনুপাল (৪০) এর নাম সহ আরও অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে উল্ল্যেখ করেছেন।মামলা সূত্রে জানাযায়,গত ১৮ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে এগারোটার সময় কামাল,মুনমুন সহ তাদের সাথে আরও কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি বাদির কপিলমুনিস্থ বাস ভবনে যেয়ে বাদিকে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে কম্পিউটারে মূদ্রিত একটি চিঠি তাকে দেয়া হয়। চিঠিতে কামাল নিজেকে শৈলেন বাবু পরিচয় দিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভাটা মালিককে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে উল্ল্যেখ করে।চিঠিতে আরও উল্ল্যেখ থাকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা দিতে ব্যার্থ হলে তার ছেলে ভবতোষকে হত্যা করা হবে।চিঠি দেওয়ার সময় তার সাথে থাকা অজ্ঞাতরাও তার উপর চড়াও হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগলাজ করে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে চলে যায়।টাকা না দেওয়ায় ক্ষীপ্ত হয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় ০১৯০২১৮০৩৭২ নম্বর মোবাইলে থেকে তাকে ও তার ছেলের পরিনতি খুব খারাপ হবে বলে হুমকি দেয়।পরবর্তিতে একই নম্বর থেকে একাধিকবার তাদেরকে খুন করে লাশ গুম করা হবে বলেও হুমকি দিতে থাকে।বর্তমানে পরিবারটি ভীত সন্ত্রাস্ত হয়ে পড়েছে।এদিকে গ্রেপতার কৃত কামাল ও মুনমুন নিজেরা সহ হালিম ও কিনু ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওসি জিয়াউর রহমান জানান,এর সাথে জড়িত বাকিদের গ্রেপতারের প্রক্রিয়া চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *